নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এক নেতার আচরণ ঘিরে। বাড্ডা থানা শ্রমিক লীগের পরিচিত এক নেতা হঠাৎ করেই নিজেকে বাড্ডা থানা শ্রমিক দলের “সভাপতি পদপ্রার্থী” হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন। এতে স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
অনুসন্ধান জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি আমান উল্লাহ আমান দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের বাড্ডা থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি জয়নাল এর সহযোগী হিসেবে রাজধানীর বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় ক্যাসিনো জুয়া ও মাদক বাণিজ্য করে আসছিল কিন্তু হঠাৎ করেই ৫ আগষ্ট এর পরে নিজের খোলস পাল্টিয়ে বিশাল বড় ক্লাব ব্যবহার করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির শ্রমিক দলের সাইনবোর্ড লাগানো হয় তারপর থেকে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে শ্রমিক দলের সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে সাবেক শ্রমিক দলের সভাপতি নূর মোর্শেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে থাকে আমান উল্লাহ আমান আর এসকল মিথ্যা তথ্য দিয়ে নূর মোর্শেদের সকল কার্যক্রম থেকে শ্রমিক দল অব্যাহত দেয়।
আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক সময়ের আওয়ামী দোসর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত বাড্ডা থানা শ্রমিক দলের সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে এলাকায় ঘোষণা করেন শুধু তাই নয় বাড্ডা থানা বেশ কয়েকটি জমি দখল করেছে এছাড়াও মেরুল বাড্ডা বিলপাড় এলাকায় ব্যায়বহুল খরচ করে শ্রমিক দলের অফিস করেছেন আওয়ামী দোসর আমান উল্লাহ।
এছাড়াও একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, শ্রমিক লীগের বাড্ডা থানার কার্যকরী সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন আমান উল্লাহ । সম্প্রতি সময়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মিছিলে, ব্যানারে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে ।
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা জানান, এ ধরনের দ্বৈত রাজনৈতিক পরিচয় শুধু বিভ্রান্তকরই নয়, বরং রাজনৈতিক শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এক আওয়ামী লীগ নেতা আমান উল্লাহ , এবিষয়ে বাড্ডা থানা একাধিক বিএনপি নেতাদের সাথে কথা বললে তাদের দাবি কখনো আমান উল্লাহ নামের কোন ব্যক্তি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বাড্ডা থানা রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিলেন না কিন্তু হঠাৎ করেই ৫ আগষ্টের পরে আলাদিনের চেরাগ থেকে হাজির হয়েছেন শ্রমিক দলের সভাপতি পদপ্রার্থী আমান উল্লাহ এদেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি”র সাথে রাজনীতি করেছেন স্বেচ্ছাচারী সরকারের হাতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়নি এমন কোন বিএনপির নেতা নেই কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখেন আমান উল্লাহ নামের ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি কারণ তিনি ছিলেন শ্রমিক লীগের সভাপতি জয়নাল এর সহযোগী ক্যাসিনো জুয়া নিয়ন্ত্রন করতেন তিনি বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায়
এদিকে, অভিযুক্ত ব্যক্তি আমান উল্লাহ আমান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি ।